কারাফটকের সামনে নিহত হেমায়েতের দাফন সম্পন্ন

জামিনে মুক্তি পেয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়ার পর পরই দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগকর্মী হেমায়েত উদ্দিনের (৩৮) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার জোহরবাদ শহরতলীর পুলেরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে হেমায়েত উদ্দিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জানাজার সময় ওই স্থানে মৃদু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে এর পর পরই পারিবারিক কবরস্থানে হেমায়েত উদ্দিনের লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে নিহতের ঘটনায় আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলাও হয়নি।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, হেমায়েত খুনের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত হেমায়েত যশোরের শহরতলী মণ্ডলগাতি গ্রামের জিন্নাত ওরফে জিন্নাত কসাইয়ের ছেলে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়া মাত্র গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে কারা ফটকের সামনে হেমায়েতকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
হেমায়েতের মা রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, মণ্ডলগাতি এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে হেমায়েতের পূর্ব শত্রুতা ছিল, তারাই হেমায়েতকে হত্যা করেছে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিয়ান জানান, হেমায়েতের বিরুদ্ধে থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে হত্যা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র মামলাও আছে। তিনি মণ্ডলগাতি এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনা করতেন।