প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুল হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সুমন হোসেন পাটোয়ারী ওরফে সাকিব ওরফে সিহাব ওরফে সাইফুলকে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ  বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক বাহাউদ্দিন জঙ্গি সিহাবকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম লুৎফর রহমান শিশির এ আদেশ দেন।

সিহাব টুটুলকে চাপাতি দিয়ে তিনটি আঘাত করেন বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, সিহাবসহ পাঁচজন এই হত্যায় অংশ নেন। আর এই পাঁচজনকে সমন্বয় করেন শরীফ। সিহাব এইচএসসি পাস করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পরে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেন। দেড় মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে টুটুল হত্যার অংশ নেন তিনি।

মনিরুল বলেন, গত ১৩ জুন কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে সৈয়দ মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম সোলায়মানী ওরফে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিহাবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো বলেন, আজিজ সুপার মার্কেটে ‘জাগৃতি’ প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যায় জড়িতদের বিষয়েও তথ্য পাওয়া গেছে। এই হত্যাকাণ্ডটি সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন সেলিম।

এই দুটি হত্যার সমন্বয়কারী সেলিম ও শরীফকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এ বিষয়ে আরো তথ্য জানা যাবে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর লালমাটিয়ার শুদ্ধস্বর প্রকাশনার অফিসে প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুল ও শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।