সাক্ষ্য দিয়ে বের হতেই বাদীকে মারধর

লক্ষ্মীপুর জেলা আদালত চত্বরে মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, মামলার বাদী রহিমা বেগম (৬০), তাঁর ছেলে সাক্ষী মাকছুদুর রহমান (৪০) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ফারুক হোসেন (৪৫)।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কাছে আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।
মামলার সাক্ষী মাকছুদুর রহমান বলেন, ‘মামলার সাক্ষী দিয়ে বের হলেই আসামিরা প্রকাশ্যে আদালত এলাকায় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। তারা মামলা প্রত্যাহার করতে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করব।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লাহারকান্দি এলাকার হোসেন আহমদের কাছে একই এলাকার মঞ্জু ও গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকজন চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে ওই বছরের ১৬ জুন হোসেন আহমদের বসত বাড়ির জমি দখলের চেষ্টা করে তারা। এ সময় বাড়ির বিভিন্ন ফলের গাছ লুটে নেয় তারা।
এ ঘটনায় মো. মঞ্জুকে প্রধান আসামি করেন রহিমা বেগম। মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নেন। জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বাদী রহিমা বেগম বলেন, ‘আজ সাক্ষ্য দিয়ে আদালত থেকে বের হওয়ার পর আমি ও আমার ছেলে একটি অটোরিকশায় উঠি। এ সময় হঠাৎ মামলার প্রধান আসামি মঞ্জুর নেতৃত্বে সাজু, রাজু ও গোলাম মোস্তফাসহ ৮-১০ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে ইট দিয়ে আঘাত করে। আমার দুটি দাঁত ভেঙে যায়, রক্তক্ষরণ হয়। আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে। ফেরাতে গেলে সিএনজি চালককেও পেটানো হয়। পরে লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আহত নারীর নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনাটি কেউ পুলিশকে জানায়নি।’