বজ্রপাতের জন্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দায়ী

দেশে গত কয়েকদিনে বজ্রপাতে মারা গেছেন অনেক মানুষ। আর ক্রমবর্ধমান এই বজ্রপাতের জন্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। আর এর ফলে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত আড়াই মাসে দেশে বজ্রপাতে মারা গেছে প্রায় ১২০ জন। আহত হয়েছেন আরো অনেকেই, যা ক্রমবর্ধমান একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া গত দুদিনেও দেশজুড়ে বজ্রপাতের ঘটনায় ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা দেশে ক্রমবর্ধমান বজ্রপাতের ঘটনারই প্রতিফলন।
এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ এম আবদুল মান্নান জানান, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৮১ সালের পর থেকে পরিবর্তনশীল জলবায়ু এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনাও বেড়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিই দেশে বজ্রপাত বাজার বড় কারণ।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য ক্রমবর্ধমান বজ্রপাতের ঘটনায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের মতে, গ্রীষ্ম এবং বর্ষার শুরুতে দেশে প্রাকৃতিক কারণেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আর এই মৌসুমে ঘরের বাইরের কাজে বের হওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এ ছাড়া বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছ, বিদ্যুতের পিলার, টেলিফোনের খুঁটি এবং কংক্রিটের ছাদের নিচে না দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া আশ্রয়স্থলের আশপাশে ধাতব পদার্থ অথবা ঢেউ খেলানো লোহা থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা।
আর বাড়িতে অবস্থান করলে জানালা, সিঙ্ক, টয়লেট, বাথটাব, ইলেকট্রনিকস থেকে দূরে থাকা ভালো। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হলে বিদ্যুতের সব সুইচ বন্ধ রাখার পরামর্শও বিশেষজ্ঞদের। কারণ অনেক সময় এসবে বজ্রপাত হয়ে তা থেকে বিদ্যুৎ মানবদেহে আসার সম্ভাবনা থাকে।