কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দু মিয়া (৬০) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবু তাহের মিয়া (৫৫) ও তাঁর ছেলে আঙ্গুর মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ তাঁদের ভৈরব বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার  করে।

এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার।

এলাকাবাসী জানায়, আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার শ্রীনগর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের দুই সদস্য প্রার্থী সেলিম ও আবুল বাশার ওরফে বাদশা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এর মধ্যে বাদশা সমর্থকদের বংশের মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রতিপক্ষ সেলিম পক্ষের লোকজনের হাতে গুরুতর আহত হলে তাঁকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে বাদশা মিয়ার লোকজন সেলিম মিয়ার সমর্থক স্থানীয় আলম বেপারীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ছিদ্দিকুর রহমানকে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করা হলে তাঁকে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শনিবার রাতে মারা যান। পরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে দাফন করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে আজ সোমবার ৮৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবু তাহের ও তাঁর ছেলে আঙ্গুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।