সিরাজদিখানে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৩৫

কেন্দ্র দখল, হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও অগ্নিসংযোগসহ নানা বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির চারজন ও স্বতন্ত্র একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
সকাল থেকে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১০টি ইউনিয়নের ৯৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই উৎসব মুখর পরিবেশ সহিংসতায় রূপ নেয়।
ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল হোসেন চোকদারের লোকজন বিএনপি প্রার্থী আবদুল খালেক সিকদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত জখম করে।
অপরদিকে বালুরচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খাসমহল বালুচর কেন্দ্রে দুপুর ১২টার দিকে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।বিকেল ৩টার দিকে একই ইউনিয়নের খাসমোহল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাঁচটি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আহত হয় অন্তত ২৫ জন।
এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বিকেল ৩টায় সিরাজদিখান বাজার সমবায় মার্কেটের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল কুদ্দুস ধীরেন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেন।
এ কারণে বিএনপির বালুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিন চৌধুরী, বয়রাগাদী ইউনিয়নের মাহমুদুর রহমান, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের আজিম আল রাজি ও মালখানগর ইউনিয়নের আজিজুল হক খানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া মালখানগর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমা বেগমও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
মুন্সীগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (লৌহজং সার্কেল) সামছুজ্জামান বাবু সাংবাদিকদের জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন তা কঠোরহস্তে দমন করেছে।