জয়পুরহাটে চারুকলা উৎসব শুরু

জয়পুরহাটে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সদর উপজলোর তেঘর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পাঁচদিনব্যাপী ‘চারুকলা উৎসব, ২০১৬-এর জয়পুরহাট পর্ব’ শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চারুকলা উৎসবের সদস্য সচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, আহ্বায়ক আমিনুল হক বাবুল, প্রধান সমন্বয়ক হারুন অর রশীদ। পরে ক্যানভাসে ছবি এঁকে পাঁচদিনের এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্কতা, সৃজনশীলতা ও সুকুমারবৃত্তি চর্চাকে উৎসাহিত করা এবং একই সঙ্গে কয়েক প্রজন্মের শিল্পীর মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজিত এ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৬০ শিক্ষার্থী ছাড়াও খ্যাতিমান চারুশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী, হামিদুজ্জামান খান, সৈয়দ আবুল বারক আলভী, মাহমুদুল হক, শিশির ভট্টাচার্যসহ দেশের বরেণ্য ২৫ জন চারুশিল্পী যোগ দিয়েছেন।
এ উৎসবে থাকছে বিভিন্ন প্রজন্মের ২০০ জন চারুশিল্পীর অংশগ্রহণে পাঁচদিনের আর্ট ক্যাম্প, প্রদর্শনী, লোকজ মেলা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রদর্শনী মাঠে দশটি স্টল, প্যান্ডেল ও সুপরিসর গ্যালারি নির্মাণ করা হয়েছে। লোকজ মেলায় মৃৎ,কারু ও হস্তশিল্প ছাড়াও রয়েছে একটি বই বিক্রয়কেন্দ্র। আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত জয়পুরহাটে এ উৎসব চলবে।
জেলার ২০টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫০ শিক্ষার্থী এই উৎসবে অংশগ্রহণ করছে। বিকালে দেশের খ্যাতিমান চারুশিল্পী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় ২৫টি স্কুলের ২৫ জন শিক্ষকসহ ১৫০ শিক্ষার্থী ছবি আঁকার মাধ্যমে শুরু হয় এর মূল কর্মসূচি। আগামী ১৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় শিক্ষার্থীদের আঁকা চিত্রকর্ম উৎসব গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে; যা ওই দিন উদ্বোধন করবেন জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু।
এ চিত্রকর্মগুলোই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে।
এ চারুকলা উৎসব-২০১৬ উদযাপন কমিটির জয়পুরহাট পর্বের আহ্বায়ক আমিনুল হক বাবুল বলেন, ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন শিল্পান্দোলনের মধ্য দিয়ে রুচির দীনতা ও অসুস্থ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, শহর থেকে পল্লী- গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা থেকে রাজধানী ঢাকার বাইরে দেশের বরেণ্য শিল্পীদের নিয়ে এমন বড় মাপের একটি চারুকলা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।