নিজামী আল-বদর বাহিনীর বর্বরতা উসকে দিয়েছেন

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, ১৯৭১ সালে নিজামী আল-বদর বাহিনীর নিয়ন্ত্রক ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার বিষয়ে তিনি সবই জানতেন।
আদালত আরো বলেন, নিজামী আল-বদর বাহিনীকে বর্বরতা থেকে বিরত না রেখে উসকানি দিয়েছেন এবং তাঁর আল-বদর বাহিনী পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছে।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, নিজামী মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্বৃত্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন, এঁরা দেশের শত্রু, ভারতের এজেন্ট।
তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, নিজামী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, মোহাম্মদপুরের ট্রেনিং সেন্টারে আল-বদর বাহিনীর অপর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মতো মতিউর রহমান নিজামীও বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিলেন। তবে প্রসিকিউশন টিম নিজামীর স্বাক্ষরিত আল-বদর বাহিনীর কোনো পরিচয়পত্র আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি। ৪২ বছর আগের এ ঘটনায় অনেক তথ্য-উপাত্তই ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রসিকিউশন টিম মৌখিকভাবে ও দালিলিকভাবে যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছে, আদালত সেসব তথ্য বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় লিখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। তাঁর রায়ের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে অন্য বিচারপতিরা স্বাক্ষর করেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।