সাত খুন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ, পরবর্তী সাক্ষ্য ৩ মার্চ

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলার বিচার কাজের প্রথম পর্যায়ে একটি মামলার বাদী ডা. বিজয় কুমার পালের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করেছেন।
urgentPhoto
অপর একটি মামলার বাদী কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ২৩ আসামি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধান তিন আসামির আইনজীবীরা জেরা না করার সাতদিনের সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আজ সোমবার সকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে ছিল নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়া। আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া আদালত চত্বরে প্রবেশাধিকার সাধারণের জন্য ছিল নিষিদ্ধ। সকাল ৯টায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১১ সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও অপর আসামি চার্সিলকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। পৌনে ১০টায় আনা হয় প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব ১১-এর সাবেক কর্মকর্তা কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনকে। তাঁদের আনা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় ও কাশিমপুর কারাগার থেকে। বেলা সাড়ে ১০টায় বিচারকাজ শুরু হলে পৌনে ১১টায় বাদী ডা. বিজয় কুমার পালের সাক্ষ্য ও জেরা চলে প্রায় তিন ঘণ্টা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আসরাফুজ্জামান বলেন, এই মামলায় কয়েকজন আসামির আইনজীবী আদালতে বলেন, এই মামলার রিভিশন আকারে একটি এবং অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা রয়েছে। যেহেতু সেগুলো পেইন্ডিং রয়েছে তাই মামলাটি স্থগিত করা হোক। আদালত শুধু যাঁদের আবেদন ডিউ রয়েছে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তাঁদের আগামী ৭ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছেন। পাশাপাশি আজকে বিজয় কুমার দাসকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আসামি এম এম রানার আইনজীবী ফরহাদ আব্বাস বলেন, আদালত খুব দ্রুত তারিখ দিচ্ছেন। কিন্তু মামলাটি দ্রুত বিচারের লিস্টে আসেনি। আর আমার আসামি ঘটনার সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করেছেন। আমি আদালতকে সেই কথাই বলেছি।
সাত খুন ঘটনায় নিহত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল সাক্ষ্য দিলেও শেষ পর্যন্ত অপর বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি আদালতের সময়ের অভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেননি।
বিজয় কুমার মনে করেন, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবেন।
অপরপক্ষে বাদীর আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ২৩ আসামির মধ্যে ২১ আসামি আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
সরকারপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন দাবি করেন, দেশের সবচে আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ দ্রুত শুরু করতে পেরেছেন। তিনি মনে করেন, এ মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
মামলা দুটিতে ১২৭ জন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সাক্ষী রয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ৩ মার্চ।