আগুনে পুড়িয়ে চা বিক্রেতা হত্যা মামলার তদন্তভার ডিবিতে

রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাতে বাবুল মাতব্বর নামে এক চা বিক্রেতা হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মো. মারুফ হোসেন সরদার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য সোমবার দুপুরে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় গত বুধবার রাতে চাঁদা না পেয়ে বাবুল মাতব্বর নামে এক চা বিক্রেতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মিরপুর শাহ আলী থানার এক পুলিশ সদস্যসহ মোট সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল মাতব্বরের বড় মেয়ে রোকসানা। ওই মামলায় পুলিশ সোর্স দেলোয়ার এবং ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পারুল ওরফে পারুলী, আইয়ুব আলী, রবিন, শঙ্কর, দুলাল হাওলাদার এবং পারভীনের নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগ করা হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার দুপুরে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহিন মণ্ডলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর আগে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহ আলী থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, শাহ আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুর রহমান, শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদার ও নিয়াজউদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জোগেন্দ্রনাথ এবং কনস্টেবল জসীমউদ্দীন। ঘটনার সময় তাঁরা ওই এলাকার দায়িত্বে ছিলেন।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসআই রবিন সরাসরি যুক্ত থাকলেও তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়নি।
তবে ঘটনার পর শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছিল, ঘটনাটির তদন্তে পুলিশের মিরপুর বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্স থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি প্রসঙ্গে উপকমিশনার (ডিসি) মো. মারুফ হোসেন সরদার জানিয়েছিলেন, পুলিশের মিরপুর বিভাগের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন— অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাসুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসেন।
আর ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে ডিসি (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে। দুই তদন্ত কমিটিকে শিগগিরই প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।