ফরিদপুর মেডিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব্যাহত

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তারা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করলে শুধু জরুরি বিভাগ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুর শহরতলির ধুলদী এলাকায় একটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় তিনজন আহত হয়। এঁরা হলেন চম্পা, সবুজ ও হারুন। পরে তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। পরে তাঁদের একজনের অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রোগীর স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর থেকে সহকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সন্ধ্যা থেকেই ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। জরুরি বিভাগের ফটকেও তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। বন্ধ হয়ে যায় সব বিভাগের চিকিৎসাসেবা। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মুমূর্ষু রোগীদের। দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তারা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তবে ওই বৈঠকে শুধু জরুরি বিভাগ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তবে হামলাকারীদের আটক না করা পর্যন্ত ধর্মঘট কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা।
যদিও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ জানান, হাসপাতালের কর্মরত রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রারদের দিয়ে বিকল্প পন্থায় শুধু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।