কিশোরগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি

কিশোরগঞ্জে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের একটি অংশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা না হলে মিছিল সমাবেশসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিবহন মালিক মো. শফিকুল ইসলাম মানিক।
লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘পুরোপুরি অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগকে পুঁজি করে পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। এর ফলে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাই অবিলম্বে ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’
শফিকুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে জেলা শহরের গাইটাল আন্তজেলা বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ এনে তাঁকে আটকের দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট আহ্বান করে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘আমি একজন পরিবহন ব্যবসায়ী এবং সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নিয়মিত সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টি পাশ কাটিয়ে আমাকে অসৎ উদ্দেশ্যে একটি মহল চরিত্র হনন করছে। অথচ আমার বিরুদ্ধে থানা কিংবা আদালতে কোনো মামলা নেই। যথাযথ নিয়মে পৌরসভা থেকে দোকান ইজারা নিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করার পরও আমাকে দখলদার বলা হচ্ছে।’
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো পক্ষ ধর্মঘট আহ্বানের আগে বিষয়টি সমাধানের জন্য কমপক্ষে সাতদিন আগে জানানোর নিয়ম থাকলেও পরিবহন মালিক সমিতি তা না মেনে একতরফা ধর্মঘট আহ্বান করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিবহন মালিক মনিরুজ্জামান বাবুল, জামাল উদ্দিন ও মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন মিয়াসহ অন্যান্য শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মঘটের কারণে শহরের গাইটাল ও বত্রিশ বাস টার্মিনাল থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়া আকস্মিক ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।