রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়াই করছেন সাতজন। তাঁদের নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যায়, একজন প্রার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি। একজনের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। বেশির ভাগ মেয়র পদপ্রার্থী এইচএসসি পাস। একজন হোমিও চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী। একজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

রাঙামাটি পৌরসভায় মেয়র পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের আকবর হোসেন চৌধুরী। তিনি হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া জনসংহতি সমিতির মনোনীত প্রার্থী গঙ্গামানিক চাকমা হোমিও চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিপ্লোমা কোর্স ডিএইচএমএস সম্পন্ন করেছেন। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল আলম রবি এইচএসসি পাস করেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শিবপ্রসাদ মিশ্র হলফনামায় অষ্টম শ্রেণি পাস বলে উল্লেখ করেছেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী অমর কুমার দে হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রার্থীদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে আটটি মামলা থাকলেও চারটি মামলা আপসে, তিনটি মামলা প্রত্যাহার ও একটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের আকবর হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা না থাকলেও অতীতে পাঁচটি মামলা ছিল। তবে পাঁচটি মামলাতেই তাঁকে আদালত থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে, বাকি পাঁচ মেয়র পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমান ও অতীতে কোনো মামলা ছিল না বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়।

প্রার্থীদের বার্ষিক আয়ে সবচেয়ে বেশি আয় উল্লেখ করেছেন ডা. গঙ্গামানিক চাকমা। তিনি বছরে চিকিৎসা খাত থেকে সাত লাখ ও কৃষি খাত থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করেন। এর পরই রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান। তাঁর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে বাড়ি ভাড়া থেকে চার লাখ, ব্যবসা থেকে ৯২ হাজার ৯৪০ ও কৃষি খাত থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তবে তিনি তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আয় দেখিয়েছেন ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিএনপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী পেশা হিসেবে ভুট্টা ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। তিনি মেয়র হিসেবে বার্ষিক আয় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল আলম রবি ব্যবসা থেকে বছরে তিন লাখ ৪০ হাজার ৯৭০ টাকা ও কাউন্সিলর হিসেবে বছরে ৬০ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী ব্যবসা খাত থেকে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী অমর কুমার দে ব্যবসা থেকে বছরে দুই ৬০ হাজার টাকা আয় উল্লেখ করেছেন। তবে প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কম আয়ের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক শিবপ্রসাদ মিশ্র। তিনি বছরে আয় দেখিয়েছেন এক লাখ ৪০ হাজার টাকা।