ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলার ১৩ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এ সময়েও চাঞ্চল্যকর এই বোমা হামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোমা হামলায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা। 

২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ শহরের ছায়াবাণী, অজন্তা, অলকা ও পূরবী সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধঘোষিত জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এ হামলা চালায় বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

শক্তিশালী এই বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন অন্তত দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ। এ ঘটনার পর সারা দেশে জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট। 

এ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরী, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক শাহরিয়ার কবির, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখা সিআইডির ময়মনসিংহ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার নারায়ণগঞ্জের সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীনসহ তিন জঙ্গির বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত বলেন, ঘটনার ১৩ বছর পার হলেও আজো এ মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার দ্রুত ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারাধীন। এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ মামলার বিচারকাজ দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে যেমন ক্ষোভ বিরাজ করছে, ঠিক তেমনি দুর্বৃত্তরাও এ ধরনের নাশকতা করার সুযোগ পাবে।