দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটবেই : ডিআইজি

সম্প্রতি পুলিশ সদস্য, প্রকাশক ও লেখকদের ওপর হামলার ঘটনা স্বাধীনতাবিরোধীদের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান। তাঁর মতে, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এসব ঘটনা ঘটছে। ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে এ রকম দু-একটি ঘটনা ঘটতেই পারে বলে তিনি মনে করেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ পুলিশের বিশেষ অপরাধ সভার ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিআইজি।
urgentPhoto
ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেন, আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করবেন যে একটু আগে আজকে সকাল বেলায় আমাদের আশুলিয়াতে একটা ঘটনা ঘটেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একজন সদস্য আহত হয়েছে। এটা টার্গেট পুলিশকে করেছে এই কারণে যাতে পুলিশকে ডিমোরালাইজ (মনোবল ভাঙা) করা যায়, দেশের মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করে। এর একটা প্রেক্ষাপট নিশ্চয় আছে, আপনারা জানেন। যে কখন কোন সময় এই কাজগুলো হয়। সেজন্য আমরা যা যা করণীয় সেটা করছি। এরপরও ধরেন দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে যায়। এটা হয়তো হতেই পারে। এত লোকবলের সংকটে থাকি, কাজের পরিধি বিস্তৃত হয়। তার পরও কোনো এক ফাকে দু-একটা ঘটনা ঘটে যায়। সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এজন্য যেগুলো করণীয় করছি।’
ডিআইজি আরো বলেন, ‘আমাদের যে কাজগুলা আপনারা দৃশ্যমান দেখেন এইগুলো নিয়ে হয়তো আপনারা কথা বলেন, কিন্তু আমাদের অদৃশ্যমান যে কাজগুলো যেগুলো হাজার হাজার ঘটনা আমরা রুখে দেই, সেগুলো আপনারা জানেন না, সেগুলো কেউ জানে না। আমরা যদি কাজগুলো না করতাম আরো লাখ লাখ ঘটনা ঘটত। সে কাজগুলো কিন্তু আমরা করি, অহর্নিশি করি। সেই কাজগুলো পুলিশ করে বলেই সমাজ স্থিতিশীল আছে, স্বাভাবিক আছে।
মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের দেশে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটবেই। সারা পৃথিবীতেই হয়। অপরাধবিহীন কোনো সমাজ, রাষ্ট্র, পৃথিবীর কোথাও ছিল না, কোথাও নেই, কোথাও থাকবে না, কোনোদিন থাকবে না। ক্রাইম যাতে কম থাকে, নিবারণ থাকে, নিবৃত থাকে মানুষকে যাতে নিরাপদে রাখা যায় সে জন্য আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা, আইন-কানুন, বিচার ব্যবস্থা সবকিছু। এর মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হবে। তবে এটা যাতে কমিয়ে আনা যায়, মানুষকে স্বস্তিতে রাখা যায়, স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থা চলে সে জন্যই আমাদের এই সমস্ত আয়োজন।’
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের প্রধান নুরুজ্জামান মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রিভিউ আবেদনের প্রতি ঈঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকেন যে এইগুলো সাময়িক। এই ১৭ তারিখের (নভেম্বর) পরে এইগুলো থাকবে না। নিষ্পত্তির একটা বিষয় আছে। ১৭ নভেম্বরে নিষ্পত্তির হয়ে গেলে তখন এই বিষয়গুলো যেভাবে চাঙ্গা দেওয়া হচ্ছে যেমন আজকে যেটা বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীরা চাচ্ছে, যদি কোনোভাবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যায়, চাপ সৃষ্টি করা যায়, দেশি এবং আন্তর্জাতিকভাবে যদি কোনোভাবে চাপ সৃষ্টি করা যায়, তা হলে হয়তো যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করা যাবে_এমন একটি বিষয় তাদের মধ্যে কাজ করছে। সেই চিন্তা থেকে তারা কাজগুলো করছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মইনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।