লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এতে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও সাত নেতাকর্মী আহত হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ বাজার ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

আহতরা হলেন চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই সোহেল মিয়া, যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকু, তাজু ভূঁইয়া, রোমেল, সৌরভ হোসেন, মো. পারভেজ, ছাত্রলীগ নেতা মামুন হোসেন ও মো. শাহাদাত। তাঁরা স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত র‌্যালি শেষে বাজারে আলোচনা সভা চলছিল। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্লাস্টিকের চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এসআই সোহেল মিয়া ও উভয়পক্ষের সাত নেতাকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।