গরু চুরির অপবাদ দিয়ে হামলা, ২৪ ঘর ভাঙচুর-লুটপাট

গরু চুরির অপবাদ দিয়ে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১০টি বাড়ির ২৪টি ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়েছে। পিটিয়ে নারীসহ চারজনকে আহত করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল হক ফকির বাচ্চু ও তাঁর লোকজন গত সোমবার ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। তবে আওয়ামী লীগ নেতা হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে হামলার ঘটনার দুই দিন পার হলেও পুলিশ হামলায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। ভয়ে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না হামলার শিকার পরিবারের লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, কেন্দুয়ার মাসকা ইউনিয়নের দিঘলী গ্রামের মুকসুদ আলী ও শাহ আলম গরুর ব্যবসা করেন। একই গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল হক ফকির বাচ্চু তাঁদের গরু চুরির সঙ্গে জড়িত বললে শাহ আলমদের সঙ্গে তর্ক বাধে। এর জের ধরে বাচ্চু ও তাঁর দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোমবার দুপুরে মুকসুদ আলী ও শাহ আলমসহ দিঘলী গ্রামের ১০ জনের বাড়িতে হামলা চালান। তাঁরা ১০টি বসত বাড়ির ২৪টি ঘর ভাঙচুর করে এবং গরু-বাছুর, স্বর্ণালংকার, টাকা থেকে শুরু করে হাড়ি-পাতিলসহ বাড়ির টিউবয়েলও খুলে নিয়ে যায়। হামলায় আহত আলতু মিয়া, তাঁর স্ত্রী সেলিনা, মুকসুদ আলী ও জজ মিয়ার মেয়ে মৌসুমীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ধরনের কাজকে মানবতা বিরোধী আখ্যায়িত করে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল হক ফকির বাচ্চু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তিনি কোনো হামলা চালাননি। একটি পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
যোগাযোগ করা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভি রঞ্জন দেব বলেন, হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।