‘আমাকে যেন ভুলে না যাও’

‘আমাকে যেন ভুলে না যাও। তাই একটা ছবি পোস্ট করে মুখটা মনে করিয়ে দিলাম।’ কথাগুলো গত ২ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল লিখেছেন। এটাই ছিল তাঁর শেষ স্ট্যাটাস।
সেখানে তাঁর একজন ভক্ত আহমেদ সাজু মন্তব্য করেন, ‘স্যার, আপনাকে মানুষ মনে রাখে আপনার ছবি দেখে না। আপনার অসংখ্য অমর গান দিয়ে আপনি কোটি কোটি বছর বেঁচে থাকবেন ভক্তদের মাঝে।’
ওয়াহিদ জালাল বলেন, ‘সালাম জানিবেন গুরু। বুকের ভেতর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চিরদিন চিরকাল আছেন, থাকবেন। মঙ্গল কামনা করছি।’
অন্যদিকে সংগীতশিল্পী নাসরিন আক্তার বিউটি বলেন, ‘আপনাকে ভোলা কখনোই সম্ভব না স্যার। অনেক ভালো থাকুন সব সময় স্যার, অনেক দোয়া রইল।‘
উপস্থাপক ইভান সাইর লিখেন, ‘আপনাকে ভুললে নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে যাওয়া হবে। আপনি হৃদয়ে।’
দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
প্রখ্যাত এই সংগীত পরিচালক ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭০ দশকের শেষলগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলী বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। অসংখ্য চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।