ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঁচটিতে নৌকার জয়, একটি স্থগিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ায় এ আসনে এখনো ফল ঘোষণা হয়নি।
গতকাল রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় আসনে সব দলের মোট ৪৫ প্রার্থী অংশ নেন।
আজ সোমবার জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম জয়ী হয়েছেন। সংগ্রাম পেয়েছেন এক লাখ এক হাজার ১১০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭৪০ ভোট।
গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের তিনটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়। ফলে এখানে চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হয়নি। তবে ১৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৯টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে বিএনপির উকিল আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া পান ৮১ হাজার ২৬৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) পেয়েছেন ৬৯ হাজার ২২০ ভোট। এ আসনের মহাজোট প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৮৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (সিংহ) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩০৫ ভোট।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে। ১৭৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭৬টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫২৩ ভোট। আর এ আসনে বিএনপির খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৭ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১৮টি। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক পেয়েছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ৮৬৫ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জসিম পেয়েছেন দুই হাজার ৮৯৪ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের মো. এবাদুল করিম বুলবুল জয়ী হয়েছেন। তিনি দুই লাখ ৫০ হাজার ৫২৯ ভোট পেয়েছেন। আর বিএনপির নাজমুল হোসেন তাপস পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১টি ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। তাজুল পেয়েছেন দুই লাখ ৭৮টি ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল খালেক পেয়েছেন এক হাজার ৩২৯টি ভোট।