‘ভোট দিতে বাড়ি যাই’

রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়েছিলেন সবুজ। বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাড়ি যাবেন। বাড়ি ময়মনসিংহ। তিনি বললেন, ‘তিনদিন ছুটি পেয়েছি ভাই। ভোট দিব। তাই বাড়ি যাচ্ছি।’
সায়েদাবাদে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কুমিল্লার শিমুল। জিজ্ঞাসা করতেই বলেলেন, বাড়ি যাচ্ছি ভাই। ভোট দিব।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর বেশিরভাগ ব্যস্ত সড়ক ও এলাকাগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। একেবারেই ফাঁকা ছিল রাজধানীর বনানী, গুলশান, কাকরাইল, মতিঝিলের মত ব্যস্ত জায়গাগুলো।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওই দিন সাধারণ ছুটি। এতে তিনদিনের ছুটি পেয়েছেন সবাই। তাই রাজধানী ছেড়ে নিজ এলাকায় গেছেন অনেকেই।
বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা তো যাচ্ছি ভোট দিতে। কাম সাইরা, বাড়িতে যাচ্ছি ভোট দিতে।’
আবুল হাসনাত নামের এক চিকিৎসক জানান, তিনি ঢাকার মিরপুরে থাকেন। সপ্তাহে পাঁচদিন নারায়নগঞ্জে রোগী দেখতে চেম্বারে যান। অন্য দিন নারায়নগঞ্জে মিরপুর থেকে যেতে ৩ ঘন্টা সময় লাগে তাঁর। কিন্তু আজ এক ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে গেছেন তিনি।
শাকিল নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি বারিধারার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। শুক্রবারেও অফিস করতে হয় তাঁকে। অন্য সময় যানজট থাকে এই ছুটির দিনেও। তবে আজ রাস্তাঘাট একবারে ফাঁকা। গাড়িও কম। তাই, দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁর।
শাকিল বলেন, ‘ভোটের আগে তিনদিন বন্ধ হওয়ায় অনেকে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। এছাড়া অনেকে গ্রামের ভোটার, তাই ভোট দেওয়ার জন্য বাড়িতে চলে গেছেন।’
শ্রাবণ পরিবহনের চালকের সহকারী মিজান বলেন, ‘দুইদিন বাদে ভোট। হের লাইগা রাস্তায় লোক নাই। প্রতি ট্রিপে লস হইতাছে। যাত্রী অনেকক্ষন ধইরাও পাইতাছি না।’
চালক মিজান বলেন, ‘আগামীকালও গাড়ি চালামু। তবে যাত্রী আগামীকাল আরো কম হইব। সবাই দেশে যাওনে লোক কম।’
এদিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গুলিস্তানের বাস টার্মিনালে লোকজনের ভিড় দেখা যায়।