‘হার্ট অ্যাটাক হয় আইয়ুব বাচ্চুর’

আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হলো বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী, গিটারবাদক আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর সংবাদ। সাংবাদিকদের জানানো হয়, তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি অচেতন ছিলেন। চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে আর ফিরিয়ে আনা যায়নি বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর এক ঘণ্টার ভেতরই স্কয়ার হাসপাতালের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিমুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হার্ট অ্যাটাক হয় আইয়ুব বাচ্চুর। বাসাতেই সেটা হয়। ৯টা ৫৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।’।
ডা. মির্জা জানান, আইয়ুব বাচ্চুর ড্রাইভারই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময় তাঁর মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। জরুরি বিভাগেই মৃত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান হাসাপাতালের চিকিৎসকরা।
ডা. মির্জা বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু বহুদিন থেকে হৃদরোগে ভুগছেন। সাধারণ মানুষের চেয়েও কম রক্তচাপ ছিল তাঁর হার্টের, সর্বনিম্ন ছিল ত্রিশের ঘরে। এই রোগটির নাম কার্ডিও-মাইওপ্যাথি।’
হৃদরোগের কারণে আইয়ুব বাচ্চু গত কয়েক বছর বারবারই হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ডা. মির্জা আরো জানান, ‘২০০৯ সালে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে শেষ তিনি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন।’
জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরুলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল এলবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’,‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। সঙ্গীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক এলবাম বের করেন।