নারায়ণগঞ্জের সব আসনেই এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র  ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আজ বুধবার বন্দর উপজেলায় কদম রসুল দরগায় দোয়া ও শুকরিয়া আদায় শেষে মেয়র আইভী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ‘কদম রসুল সেতু’র অনুমোদন দেওয়ায় মেয়র আইভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। সাত বছর আগে মেয়র আইভী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেতুটির জন্য প্রস্তাব করেন। পরে একনেকের এবারের সভায় ৫৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই অনুমোদন প্রসঙ্গে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করলাম। তখনই বন্দরবাসীর দাবি ছিল যে একটা ব্রিজ কইরা দিতে হবে শীতলক্ষ্যার উপর দিয়া। আমি যখন এই দরগায় জিয়ারত করতে আসছিলাম, তখনই আমি এখানে বলছিলাম যে, যদি কদমের উছিলায় আমাকে এই শহরের সেবা করার সুযোগ কইরা দেয় আল্লাহ, তাহলে আমি অবশ্যই একটা ব্রিজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করব এবং এই কদমের নাম অনুযায়ী ব্রিজটার নাম হবে কদম রসুল ব্রিজ। আজকে সাত বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এই ব্রিজটির অনুমোদন করেছেন একনেক মিটিংয়ে। তারই শুকরিয়া আদায় করার জন্য এই দরগায় এসেছি।’

তবে কবে নাগাদ এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, ‘এখনো আমরা বলতে পারছি না। সবে একনেকে পাস হলো। এটাকে ওপেন টেন্ডার করা হবে। এলজিডি এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এই কাজটি হবে। হয়তো চার পাঁচ মাস হতে পারে, বা একটু বেশি সময়। কারণ আমাদের কনসালটেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। এখানে প্রায় ছয়-সাত মাস লেগে যেতে পারে।’

এ সময় সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ দলের অন্য নেতারা।