সৌদি আরবে নিহত বাতেনের বাড়িতে শোকের মাতম

সৌদি আরবে মর্টার হামলায় নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতেনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বাতেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গুলপুকুরিয়া গ্রামের মো. মোহন মিয়ার ছেলে।
শনিবার বাতেনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাতেনকে হারিয়ে বাবা-মা দিশেহারা। সন্তান হারানোর বেদনায় মা ঝরনা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বাতেনের মা ও পরিবারের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাবা, মা, তিন ভাই ও দুই বোন নিয়ে বাতেনদের সংসার। চাষাবাদের তিন শতাংশ জমি আর দেড় শতাংশ ভূমির ওপর একটি ঘর ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই বাতেনের। বাতেনই ছিল এ সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস। পরিবারকে নিয়ে একটু সুখের আশায় ধার-দেনা করে ও সুদে তিন লাখ টাকা দিয়ে ২০০৭ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান বাতেন। শুক্রবার বিকেলে সৌদি আরব থেকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ বাড়িতে পৌঁছায়।
বাতেনের বাবা-মা অভিযোগ করেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাঁরা এখন পর্যন্ত কোনো সংবাদ পাননি। কীভাবে, কোথায় তাঁর ছেলের লাশ আনার ব্যাপারে খোঁজখবর করবেন তাঁরা জানেন না। তাঁরা দ্রুত ছেলের লাশ দেশে আনার ব্যাপারে সরকারের সাহায্য চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হবে। তাঁর লাশ বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে সরকারি সব সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সৌদি আরবে ইয়েমেন সীমান্তসংলগ্ন জিজানের সামতাহ জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় শুক্রবার ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মর্টার হামলায় বাতেন ও টাঙ্গাইলের নুরুসহ তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন।