নেত্রকোনার আটপাড়ায় বাবা-ছেলেকে হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন আটপাড়ার উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, সাবাস খা, ছদ্দু মিয়া, কমল খা ও আলা উদ্দিন খা।

নিহতরা ব্যক্তিরা হলেন তাজুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে সুমন মিয়া। তাঁদের বাড়ি আটপাড়া উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামে।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম প্রদীপ জানান, তাজুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে সুমন মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে ২০১১ সালের ২৭ মার্চ সকালে দুবিলা বিল থেকে তাজুল ইসলাম ও সুমন মিয়া বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র হামলা চালায়। এতে বাবা-ছেলে গুরুতর হন।

আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর তাঁদের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত তাজুল ইসলামের ছেলে সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে ওই দিন রাতেই আটপাড়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলা পরিচালনাকালে এক আসামি মারা যান। 

আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া মামলার অপর সাত আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ব্যোমকেশ ভট্টাচার্য ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম খান।