জাফরুল্লাহকে ‘রং হেডেড’ বললেন ট্রাইব্যুনাল

আদালত অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কঠোরভাবে সতর্ক করে ক্ষমা করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁকে ‘রং হেডেড’ বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। আবেদনের পক্ষে আদালতে ছিলেন খান মো. শামীম আজিজ ও মোরশেদ আহমেদ খান।
আদালত তাঁর রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘জাফরুল্লাহ ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে মন্তব্য করে নিজেকে রং হেডেড হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এ ধরনের মন্তব্য তাঁকে ভয়ানক ও প্রচণ্ড বিকৃত মস্তিষ্কের ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করেছে। গত ১০ জুন আদালত অবমাননার রায়ের পর ডা. জাফরুল্লাহ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষেই সম্ভব। তিনি চরম বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। নিঃসন্দেহে এসব বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। তবে সেদিনের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাঁকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
ট্রাইব্যুনাল রায়ের পর্যবেক্ষণে আরো বলেন, ‘একজন ব্যক্তি, তিনি যে-ই হোন না কেন, বাকস্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারী কথাবার্তা বলতে পারেন না। আদালতের ওপর মানুষের আস্থাকে নষ্ট করতে পারেন না। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমরা মনে করি, তাঁকে যদি এখনই থামানো না হয়, তাহলে তিনি তাঁর উগ্রতা দিয়ে দেশের বিচারব্যবস্থা ও আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করতে পারেন।’
এর আগে বিচারকদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য গত ৯ আগস্ট আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।