কয়লাখনি মামলা : খালেদা জিয়ার দুই আবেদন খারিজ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার নথি ও ২০০৮ সালের দুদকের দেওয়া অব্যাহতিপত্র তলব করতে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে মামলাটি বাতিল চেয়ে একই বছর হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে একই বছর ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলছে।
এ অবস্থায় মামলার নথি তলব চেয়ে গত ১৮ আগস্ট আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
ওই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।