পাবনায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আবদুল হামিদ (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত হামিদ ধুলাউড়ি ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান জানান, বুধবার দুপুরে উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের হামিদের সাথে বিলসলঙ্গী গ্রামের আবদুল আলিমের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলেও পুনরায় হামিদের ছেলেদের সঙ্গে আলিমের ধস্তাধস্তি হয়। এরই জের ধরে স্থানীয় মাতব্বরকে সঙ্গে নিয়ে আলিম ও তাঁর লোকজন হামিদকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে এনে ধুলাউড়ি বাজারে মারধর করেন। একপর্যায়ে হামিদ অসুস্থ্ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে দ্রুত সাঁথিয়া হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক হামিদকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ হামিদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি আরো বলেন, হামিদের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এর আগে তিনি দুইবার মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় (স্ট্রোক) আক্রান্ত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কেউ মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত হামিদের স্বজনরা জানান, সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল আলিম সামান্য কারণে আবদুল হামিদকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দোলোয়ার বলেন, আব্দুল হামিদ মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছেন। হামিদের পরিবারও বিষয়টি নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্চ করেনি। তবে এই মারা যাওয়ার বিষয় নিয়ে একটি মহল আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে।