ঈশ্বরগঞ্জে দফায় দফায় যুবলীগের সংঘর্ষ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনসহ কয়েকটি বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে ছয় যুবলীগকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন দেলোয়ার জাহান মামুন, সুজন, এ কে এম অমিত উল্লাহ, হিরণ, আব্দুল্লাহ ও কামাল। গুরুতর আহত দেলোয়ার জাহান মামুন ও সুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও একটি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটির সংবর্ধনার দিন থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। নতুন কমিটির আহ্বায়ক আবুল খায়ের ও বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান পক্ষের মধ্যে ২৮ জানুয়ারিতেই ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নতুন কমিটির আহ্বায়ক আবুল খায়ের পক্ষের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালামের নেত্বত্বে পৌর এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এর আগেই বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান ও তাঁর সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে পৌঁছালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও একটি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
বিকেল ৪টা থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যায় পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমনের থানা রোডের সরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালামের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেয়াজি ও গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকির আহামেদ সিদ্দিকী অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।