মৌলভীবাজারে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় পপি রানী পাল নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার ভোরে আরেক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পপি সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের মনোহরকোনা গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের দেবর মিন্টু পাল জানান, গত শুক্রবার রাত ৭টায় অন্তঃসত্ত্বা পপি রানী পালকে মৌলভীবাজারের নুরজাহান প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) জন্য বলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফারজানা হক পর্ণা অস্ত্রোপাচার করেন। অস্ত্রোপাচারের পর তার এক সন্তানের জন্ম হয়। তারপর রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

মিন্টু পাল আরো বলেন, পপির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি না নিয়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রোগীর আত্মীয়স্বজন সিলেটের পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়।

স্বজনরা জানান, পপি রানীর মৃতদেহ নিয়ে নুরজাহান প্রাইভেট হাসপাতালে ঘেরাও করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

নুরজাহান হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোয়াহিদ আহমদ বলেন, ‘রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। রোগীর রক্তক্ষরণ হয়েছে, যার জন্য রাতে আবার ডাক্তারকে এনে চিকিৎসা দেই। পরে তারা হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চাইলে আমরা রিলিজ দেই।’

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহাম্মদ জানান, পপি রানীর মৃতদেহ পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন।