আহত সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ঠিকাদারের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি ও লুটপাটের ঘটনায় ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুমসহ তাঁর ১৬ অনুসারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি এফআইআর করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ময়মনসিংহে দ্রুত বিচার আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসুদুল হক এ নির্দেশ দেন।
মামলার আইনজীবী আবদুর রহমান আল হুসাইন তাজ গতকাল বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা থানায় পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার প্রধান আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ শাহ আলম মাসুম ওরফে সিনবাদ মাসুম ৩১ অক্টোবর রাতে ময়মনসিংহ শহরের সাহেব কোয়ার্টার এলাকায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার বাদী খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সানু অ্যান্ড কোং-এর মালিক মো. সানু মিয়া। তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৩৫টি বগি নিলামে কিনে নেন তিনি। বগিগুলো ছিল ময়মনসিংহ জংশন রেলস্টেশন এলাকায়। বিক্রির জন্য নিলামে কেনা বগিগুলোর বিভিন্ন অংশ খুলে ও কেটে ছোট ছোট করে স্তূপ করছিলেন তাঁর শ্রমিকরা। সাব-কন্ট্রাক্টর ও স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান সেগুলোর দেখাশোনা করেন।
সানুর ভাষ্য, গত ৩১ অক্টোবর দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুম ও তাঁর অনুসারীরা পিস্তল, ককটেল নিয়ে সানুর শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় সানুর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন মাসুম। একপর্যায়ে সানুর পকেটে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়েও নেন তিনি। এ ছাড়া বগির লেজার প্লেট, ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার, আটটি কাটার সেটসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে মাসুমের লোকজন। এ ঘটনার পর কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে গত ৭ নভেম্বর তিনি আদালতে মামলা করেন।
এদিকে, দুপুরে এ ঘটনার পর বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা বলে ওই দিন রাতে ফোন করে শহরের সাহেব কোয়ার্টার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুমকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ৪ নভেম্বর মাসুমের বড় ভাই নাজমুল হাসান জনি মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠানসহ যুবলীগের ২০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।