খাগড়াছড়িতে শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’, বাতিলের দাবি

খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ।
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিতর্কিত এই নিয়োগ বাতিলে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার মানিকছড়ি উপজেলায় অর্ধদিবস সড়ক অবরোধ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সব কর্মসূচিও স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনউদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিটি নিয়োগে আট থেকে দশ লাখ করে টাকা নেওয়া হয়েছে। বিএনপির লোকজন চাকরি পেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এনামের প্রেমিকাকে নিয়োগের ক্ষেত্রে আট লাখ, সহসভাপতি আরব আলীর কাছ থেকে সাত লাখ, বিএনপি নেতা রাজ্জাক ডাক্তারের ছেলে আনোয়ারকে আট লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চিংসামং চৌধুরীর স্ত্রী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে চিংসামং চৌধুরী নিহত হওয়ার পর দলের পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, জেলা পরিষদের সদস্য এম এ জব্বার ও রোম্রাচাই চৌধুরী এসব নিয়োগে দুর্নীতি করেছেন। তাঁরা ইউপিডিএফ নেতা যালাই মারমার বোন মিতালী মারমার কাছ থেকে সাত লাখ টাকা, চাতই মারমার কাছে ছয় লাখ, রুইক্রাসং মারমার কাছ ছয় লাখ টাকা নিলেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি।
এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য এম এ জব্বার ও রোম্রাচাই চৌধুরীর সদস্যপদ বাতিলসহ জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুল, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর নাহার, সাধারণ সম্পাদক পপি তালুকদার, যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম বাদল, ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর। এর আগে এই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মৌন মিছিল বের করা হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজ্যরি চৌধুরী। তিনি বলেন, নিয়ম-নীতি ও স্বচ্ছতা বজায় রেখেই সকল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।