ময়মনসিংহে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ‘মারধরের হুমকি’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাসিন্দাদের ওই হুমকি দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে ‘প্রেসক্লাব ময়মনসিংহে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ঈশ্বরগঞ্জের চরজিথরবাগের জান্নাত নূরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, তাঁর সহযোগী এমদাদসহ কয়েকজন মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মারধর ও ভাঙচুর করে। ওই ঘটনার পরের মাদ্রাসার শিক্ষক হুমায়ুন করীর বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিচারিক হাকিম আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। সম্প্রতি ওই মামলায় পুলিশ এমদাদকে গ্রেপ্তার করে। গত বুধবার এমদাদ ও সাইফুল জামিনে মুক্তি পান। জামিন পেয়ে আসামিরা বাড়ি ফেরার পর আবার মাদ্রাসা ভেঙে ফেলাসহ কমিটির সদস্য ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মারধরের হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সিরাজ আলী বলেন, ২০১১ চরজিথর গ্রামে সিরাজ আলী ও সাইফুল ইসলাম উভয়ই ১০ শতক করে জমি ওয়াকফ করে চারজিথর গ্রামের একটি মসজিদে নামে লিখে দেন। ওই ২০ শতক জমিতে একটি মসজিদ এবং বাগে জান্নাত নূরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সিরাজ আলী বলেন, ২০১৫ সালে মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রয়োজনে মাঠ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ১৩ শতক জমি মাদ্রাসার তহবিলের দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেয় মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটি। ওই সময় সাইফুলের থেকে জমি লিখে নেওয়া হয়নি। কিছু দিন পর সাইফুল ইসলাম ওই জমি বিক্রি করেননি বলে প্রচার শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ ও সাইফুল ইসলাম আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। ওই মামলার রায় মাদ্রাসা কমিটির পক্ষে গেলে সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
এ বিষয়ে আজ চরজিথর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দেইনি।’