কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে : আইজি প্রিজন

কারাগারে থাকা সন্ত্রাসীরা মাদকদ্রব্য সেবন এবং মুঠোফোন ব্যবহার করতে না পেরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজ প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।
আজ সোমবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ১-এ কারাবন্দিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আয় বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন এ কথা বলেন।
এ সময় কারাগারের ভেতরে বন্দী নির্যাতনের যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলেও দাবি করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর ওপর নয়। এখানে একটা অমানবিক নির্যাতনের বিষয়ে খবর ছেপেছে। সেখানে যে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে আপনি দেখবেন, সেই ২৩ জনের সবাই দাগী সন্ত্রাসী। সবাই মাদক ব্যবসার সাথে সংযুক্ত। কারাগারের ভেতরে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জিনিস ব্যবহার করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কারণে মাদকদ্রব্য এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না পেরে তারা কারা প্রশাসনের ওপর কিছুটা অখুশি হয়ে চক্রান্ত করে বা উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এই খবরগুলো ছাপছে।’
কারাগারের ভেতরে ২৩ জন বন্দিকে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে জানিয়ে এ মাসের শুরুতে সংবাদ প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইজি প্রিজন আজ এসব কথা বলেন।
কোনো কারাগারেই বন্দীদের অত্যাচার বা তাঁদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করা হয় না দাবি করে আইজি প্রিজন বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে কিছুটা দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে হয়। তিনি বলেন, ‘দাগী সন্ত্রাসীদের মাথায় হাত বুলিয়ে কারাগার পরিচালনা করা আমাদের পক্ষে কঠিন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন আরো বলেন, কারাগার থেকে বেরিয়ে তারা যেন আবার কারাগারে ফিরে না আসে সে জন্য তাদের বিভিন্ন পুনর্বাসন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে বাইরে যায় সে বিষয় বিবেচনা করে বন্দিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সময় কাশিমপুর কারাগারের চারটি পার্টের জেল সুপার ও জেলাররা উপস্থিত ছিলেন।