বজ্রপাত হলে প্রথমে তালগাছে পড়ে। আর বজ্রপাত ঠেকাতে সারাদেশে পাঁচ লাখ তালগাছ লাগানো হবে বলে উল্লেখ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কনভেনশনের প্রথম দিনে এক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মায়া বলেন, ‘আমরা বলছি বাংলাদেশে পাঁচ লাখ তালগাছ লাগাতে হবে। আগে ঠাডা মারলে বজ্রপাত হলে তালগাছে পড়ে। তাই প্রত্যেক গ্রামে-গঞ্জে তালগাছ লাগাব আমরা।’

কনভেনশনে আরো বক্তব্য দেন নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তাঁর মতে, শহরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে যত্রতত্র মাটি ভরাট করে নির্মিত দালান। বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন না করা গেলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে নগর পরিকল্পনাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, মধুপুর ফল্টে যদি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয় তবে তাতে ঢাকায় সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়বে প্রায় ৭২ হাজার দালান। আর সেই ভূমিকম্প যদি রাত ২ নাগাদ হয় তাতে মারা যেতে পারে ৮৮ হাজার মানুষ।

খ্যাতিমান এ নগর পরিকল্পনাবিদ  আরো জানান, ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলে হওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। এ বিষয়ে অনেক দেশি-বিদেশি গবেষক তাঁদের মতামত তুলে ধরেছেন সাম্প্রতিক সময়ে।

অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ভূমিকম্পের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও তিনি অন্যান্য দুর্যোগের ব্যাপারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। আশংকা প্রকাশ করেন সাম্প্রতিক সময়ে গ্রাম এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাওয়া নিয়ে। বজ্রপাত ঠেকাতে তিনি তালগাছ লাগানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন।