রূপপুর চালাতে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি। আর এ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা থাকবে আণবিক শক্তি কমিশনের কাছে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অধ্যাদেশ ২০১৫’-এর খসড়ার নীতিগত চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তা অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘গত ৪ মে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অধ্যাদেশ উপস্থাপন করা হয়েছিল। ওই দিন নীতিগত অনুমোদন দিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণসহ আবার ফেরত পাঠানো হয়। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ তা পুনরায় উপস্থাপন করে। আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।’
মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘বিষয়টি জরুরি। এখন সংসদ অধিবেশন নেই। ফলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে অধ্যাদেশ কার্যকর করা হবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ‘পাঁচ হাজার ৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার এ প্রকল্পতে রাশিয়ান ফেডারেশন চার হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে দিচ্ছে। বাকি এক হাজার ৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারই দিচ্ছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট নাম না দিয়ে অধ্যাদেশ অনুযায়ী ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। রূপপুরের পর ভবিষ্যতে আরো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারে। এ জন্য একটি সাধারণ নাম দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যত পারমাণবিক কেন্দ্র হবে সব এ নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, ‘অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব। আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ আরো সাতজন এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন। রূপপুরের সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক হবেন এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর এ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা থাকবে আণবিক শক্তি কমিশনের কাছে।
এ ছাড়া আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৫, আর্মি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ ও এয়ারফোর্স (অ্যামেন্ডমেন) অ্যাক্ট ২০১৫-এর খসড়ার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।