বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যথেষ্ট প্রমাণপত্র পুলিশের হাতে রয়েছে, সেই মামলাতেই তিনি আদালতে দোষী প্রমাণিত হবেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। 

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাসভবনে গরিব-দুস্থদের মাঝে নগদ অর্থ সাহায্য ও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঝে নগদ টাকা, ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এ সময় তিনি বিএনপি ভাঙনের মুখে বলেও মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো প্রচেষ্টা নেই। খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সকল নেতারাই জানেন যে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা সত্যি। আদালতে হেয়ারিং হলে উনি দোষী প্রমাণিত হবেন। এই ভয়ে খালেদা জিয়া আদালতে যান না। আওয়ামী লীগের মিথ্যা মামলা দেওয়া লাগবে না। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে তিনি এবং ছেলেরা যেসব দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন তার সঠিক বিচার হলেই তিনি দোষী প্রমাণিত হবেন।’

বিএনপি এখন একটা ডুবন্ত নৌকার মতো উল্লেখ করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ আরো বলেন, জাহাজ যখন ডুবে যায় তখন মানুষ খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। বিএনপির এখন সেই দশা হয়েছে। তাদের দল এখন ভাঙনের মুখে। নিজেদের নেতাদেরই এখন দলের প্রতি আস্থা নেই। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে এখন তারা সরকারের যে কোনো বিষয় নিয়ে কাল্পনিক কথাবার্তা বলে নিজেদের আত্মতৃপ্তি ও নেতাকর্মীদের মনোবল টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। 

‘এসব করে পার পাওয়া যাবে না। বিএনপির ভেতরে ভাঙন ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের যে সুর বেজে গেছে, এ থেকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রক্ষা পাবেন না,’ বলেন হানিফ।  

পরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোদেজা খাতুনের উপস্থিতিতে সংসদ সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফ নয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাঝে ১০ হাজার টাকার চেক ও একটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করেন।

এ ছাড়া গরিব-দুস্থদের মাঝে ঈদ সাহায্যের নগদ অর্থ তুলে দেন। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রবিউল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।