ইফতার খেয়ে ৮ শ্রমিকের ডায়রিয়া, এই দেখে অন্যরাও অসুস্থ

নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া ইফতার খেয়ে আটজন শ্রমিকের ডায়রিয়া হয়েছে। এই দেখে অর্ধশতাধিক শ্রমিক গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁদের নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে অনেক শ্রমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরাও শিগগিরই সুস্থ হয়ে যাবেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার ফতুল্লার পিলকুনি এলাকার রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা এন টি অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কারখানায় ইফতার মাহফিল হয়। সেখানে অন্তত ৫০০ শ্রমিক ইফতার খান। আজ মঙ্গলবার সকালে কারখানায় এসে আটজন শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। তাঁদের পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ খবর কারখানার অন্য শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদেরও একই হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকালে এনটি অ্যাপারেলস গার্মেন্টস থেকে সাত-আটজন রোগী আসে। ওদের কিছু সমস্যা ছিল। পাতলা পায়খানা ছিল, বমিভাব ছিল, শরীরে দুর্বলতা ছিল। ওই রোগীগুলোকে আমরা ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। এরপর আমরা খবর নিয়ে জানলাম কালকে নাকি ওদের ওখানে (কারখানা) ইফতার পার্টি ছিল। ইফতার খাওয়ার পরে তারা নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। এরপরে দেখা গেল কি আরো অনেক রোগী এক সাথে চলে আসছে। কিন্তু যারা আসে তাদের তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে আমরা যেটা ধারণা করছি যে তারা মাস সাইকোজেনিক ইলনেসে (গণমনস্তাত্ত্বিক) আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ ওই রোগীগুলো যারা ইফতার পার্টিতে ছিল তারা মনে করছে, আমরাও তো ইফতার পার্টিতে ছিলাম, আমাদেরও তো অসুস্থ হওয়ার কথা। এই দেখাদেখি তারা সাইলোজিক্যাল ইফেক্টেড হয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে। তবে এখানে খুব সিরিয়াস কোনো রোগী নেই। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেকে এরই মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। বাকিরাও আশা করি খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারবে।
সবাই খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে আরএমও বলেন, ‘সবার ফুড পয়জনিং হয়নি। মাস সাইকোজেনিক ইলনেসে যেটা হয় সেটাই হয়েছে।’