সিরাজগঞ্জের যুবদল নেতা সেলিম রেজা সুজন হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহরবাসীর ব্যানারে আজ রোববার সকালে শহরের মালশাপাড়া এলাকা থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে নারী-পুরুষসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মিছিলটি কালেকটরেট চত্বর প্রাঙ্গণে এলে সেখানে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন নিহত সুজনের বাবা আবদুস সামাদ, মা মাজেদা খাতুন, সাংবাদিক খ ম আজাদ, মাসুদ রানা প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে সুজনের মায়ের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১ জুন নিজ বাড়িতে সুজন নির্মমভাবে খুন হন। তাঁর স্ত্রী তিথি খাতুনের পরকীয়ার জের ধরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। একই দিন সুজনের মা মাজেদা খাতুন বাদী হয়ে তিথি, তাঁর প্রেমিক মনিরুল, শ্যালক পিয়াস, পাবেল ও রাশেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিনের মাথায় কোনো ধরনের তদন্ত না করে তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা আসামি রাশেদ, পিয়াস ও পাবেলের নাম বাদ দিয়ে একটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। বর্তমানে আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদী ও সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।

স্মারকলিপিতে আরো অভিযোগ করা হয়েছে, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারী গোলাম পারভেজসহ বেশ কয়েকজন মামলাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে না-রাজি দেওয়া হয়েছে। মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সুজনের মা আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুনভাবে অভিযোগপত্র দেওয়ার দাবিসহ ছেলের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সুজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, আসামি মনিরুল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সুজন হত্যাকাণ্ডে তিনি একাই জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করায় তিন আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।