পূর্বাচলের লেকের অস্ত্র মামলা সিআইডিতে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল লেক থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাত থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণাকালে এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি আরো জানান, সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার এহসানউদ্দিন চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করবেন। আজ অভিযানের দশম দিনে ঘটনাস্থল থেকে আরো একটি রকেট লঞ্চার শেলসহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণাকালে পুলিশ সুপার জানান, পানিনিষ্কাশন শেষে পুরো এলাকায় তল্লাশির চালানোর পর সেখানে আজ সকালে আরেকটি রকেট লঞ্চার শেল ও বেশকিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেছে। আর অস্ত্র নেই নিশ্চিত হয়ে তল্লাশি অভিযান শেষ করা হয়েছে।
গত ১ জুন রাতে শুরু হয়ে পরদিন বিকেল পর্যন্ত রূপগঞ্জের পূর্বাচলের একটি লেক থেকে ৬২টি এসএমজি, দুটি দুরবিন, দুটি রকেট লঞ্চার, এসএমজির ৪৪টি ম্যাগাজিন, পাঁচটি পিস্তল, ৪৯টি শেল, দুটি ওয়াকিটকি, ৪২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস, টাইম ফিউজসহ বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ৩ জুন উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের বাসুন্দ্র আতলাবো এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে আরো পাঁচটি এসএমজি উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার পানিনিষ্কাশনের একপর্যায়ে আরো একটি রকেট লঞ্চারের শেল উদ্ধার করা হয়। আজ সর্বশেষ আরেকটি রকেট লঞ্চার শেল ও কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৩ জুন রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করে একটি মামলা করেন। এর মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার আছেন।