অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আটককৃতরা মূল চালানে যুক্ত নয়

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অস্ত্র ও গোলাবারুদ্ধ উদ্ধারের ঘটনায় আটক চারজন মূল চালানে যুক্ত নয় জানিয়ে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ডিআইজি।
রূপগঞ্জে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, আটককৃত শরীফ, শাহীন, শান্ত ও রাসেল ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া অস্ত্র বাড়িতে রেখেছিলেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। অস্ত্রের চালানের মূল হোতাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ডিআইজি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক চারজন জানান, হদয় (২০) নামের এক যুবক রূপগঞ্জের ওই লেকে মাছ ধরতে গিয়ে পায়ে ব্যাগের অস্তিত্ব পান। পরে সেই ব্যাগে তিনি বেশ কয়েকটি এসএমজির সন্ধান পেয়ে শরীফকে জানান। এর পর শরীফসহ চারজন মিলে অস্ত্রগুলো ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেন। পরে পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে তিনটি এসএমজিসহ অন্যান্য গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো আরো পাঁচ থেকে ছয়টি অস্ত্র তাঁদের মাধ্যমে বাইরে কোথাও রয়ে গেছে। ঘটনাটি তাঁরা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত না করায় মামলা হবে।
ঘটনার পর সন্দেহভাজন হৃদয় দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে মন্তব্য করে ডিআইজি জানান, জঙ্গিদের ব্যবহৃত অস্ত্রের সঙ্গে রূপগঞ্জে উদ্ধার অস্ত্রের কোনো মিল নেই। এগুলো কোন দেশের তৈরি বা কোথা থেকে এসেছে, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ বা চীনের তৈরি অস্ত্রের সঙ্গে এগুলোর মিল পাওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রামে উদ্ধারকৃত ১০ ট্রাক অস্ত্রের সঙ্গে এর সামঞ্জস্য থাকতে পারে।
ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, তৌফিকুর মাহাবুব চৌধুরী, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সুপার আবুল কালাম আজাদ, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক।