সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা : সাক্ষ্য দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী

পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন তসলিম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েসের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সালাহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, অ্যাডভোকেট তসলিম এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। বোমা হামলার সময় তিনি ওই সমাবেশেই ছিলেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হিমাংশুর হাত ধরে পালস চেক করার সময় তাঁর চোখের সামনেই হিমাংশু মারা যান। মুফতি হান্নান বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত বলে তিনি আদালতে সাক্ষ্য দেন।
বিচারক এ দিন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বাকি সাক্ষীর জন্য আগামী ২৬ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশ চলাকালে বোমা হামলায় আবুল হাসেম, হিমাংশু মণ্ডল, মোক্তার হোসেন, বিপ্রদাশসহ পাঁচজন নিহত হন।
এ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মনজুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় বিস্ফোরক ও দণ্ডবিধি আইনে মামলা করেন।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মুফতি হান্নানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রের ১৩ আসামি হলেন মুফতি হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুহিবুল মুত্তাকিন, আনিসুল মুরসালিন, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নূর ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে মুফতি হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও মো. মশিউর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর বাকি ছয় আসামি মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।
২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে একই আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।