ক্ষমতা নয়, দলই স্থায়ী : তোফায়েল

আজ ২৩ জুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৬তম বর্ষপূর্তি। ১৯৪৯ সালের এ দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের। এর পর নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে এসেছে বাঙালির স্বাধিকার ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী এই দলটি।
দলটির প্রথম সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক পদে শামসুল হক আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫০ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নামে এ দলটির নেতৃত্ব দেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। আর ১৯৫৩ সালের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৫ সালে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে রূপ নেয় আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রায় প্রতিটি পর্যায়ে ছিল দলটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস যদি পর্যালোচনা করি আমরা দেখব, প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিটি সংগ্রাম সবকিছু ছিল বাংলার মানুষের স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। সুতরাং আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাংলার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাস। এ ৬৫ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনেক কিছু করেছে।’
দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলে চাপে পড়ে সংগঠনটি। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর ১৯৯৬ এবং ২০০৮-এ সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাজের মূল্যায়ন যেন মানুষ করতে পারে, আমাদের যেন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে না হয়, সে জন্য আমাদের যত্নবান হতে হবে, সতর্ক হতে হবে এবং সাবধান হতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী দল।’
‘ক্ষমতা পার্মানেন্ট নয়, কিন্তু দলটা পার্মানেন্ট, সেই দলটাকে শক্তিশালী করাটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ,’ যোগ করেন তোফায়েল।
লড়াই-সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে, এমন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতার।