ফাঁকা ফাঁকা বৈশাখ

‘এত গরম! রাস্তায় তেমন মানুষজন নেই। এবার পয়লা বৈশাখে ব্যবসায় লোকসান হবে মনে হয়। এখন পর্যন্ত একটা কিছুই বিক্রি করতে পারিনি। প্রচণ্ড রোদের তাপে দোকানেও ঠিকমতো বসতে পারছি না। এবারের বৈশাখ দেখে মনে হচ্ছে ফাঁকা ফাঁকা বৈশাখ।’
খেলনাসহ বিভিন্ন ছোটখাটো জিনিস নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে বসেন আলমগীর হোসেন। পয়লা বৈশাখে ব্যবসা কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে এভাবেই অভিজ্ঞতার কথা বলেন তিনি।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমগীর ডেমরা থাকেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তিনি এ ব্যবসা করেন। তিনি জানালেন, অন্য বছরের পয়লা বৈশাখের তুলনায় এবার ব্যবসায় লাভের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। কারণ লোকজন বেশ কম।
আজ পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীবাসীর অনেকেই খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সকাল ১০টার পর থেকে অনেকেই বাসায় ফিরতে শুরু করেন।
সংসদ ভবনের আশপাশের ফুটপাতে যেসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে বসেছেন, তাঁরা ক্রেতার আশায় তাকিয়ে রয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের দিন। এদিনে পয়লা বৈশাখ পড়ায় অনেকেই সকালে বাসা থেকে বের হননি। দুপুরের নামাজের পর বেরিয়েছেন।
আবুল কালাম নামের এক তালপাখা বিক্রেতা জানান, তিনি জুমার নামাজ আদায় করে পাখা বিক্রির জন্য বেরিয়েছেন।
আবুল কালাম বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম ও জুমার নামাজের দিন হওয়ায় লোকজন কম। তবে বিকেলের দিকে অনেকে বের হতে পারে।’
রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর, রবীন্দ্র সরোবর, জিয়া উদ্যান ও বিভিন্ন পার্ক এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা যাঁরা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন, প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে অনেকেই বিভিন্ন গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে পয়লা বৈশাখের উৎসবে যেকোনো ধরনের নাশকতা, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিকেল ৫টার মধ্যেই সব ধরনের অনুষ্ঠান শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানালেন, তাঁরা বিষয়টি জানেন না।