রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে লাশ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি বাড়ি থেকে জেসমিন আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রাম থেকে জেসমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জেসমিন চরমনসা গ্রামের দৃষ্টিহীন মো. রাশেদের (৩৮) স্ত্রী। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।
রাশেদের দাবি, পরকীয়ার জেরে তাঁর স্ত্রী জেসমিন আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, জেসমিন ও তাঁর স্বামী রাশেদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ভোলা জেলার বাসিন্দা সিরাজ নামের এক ব্যবসায়ী। এই দম্পতি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণের টাকা তুলে সিরাজকে দেন। ঋণের টাকা দেওয়ার কিছুদিন পর সিরাজ ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। সেই থেকে ঋণের টাকার পরিশোধ নিয়ে জেসমিন-রাশেদ দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। এরপর আজ সকালে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জেসমিনের লাশ পাওয়া যায়।
জেসমিনের বড় ভাই মো. খোকন বলেন, ‘প্রায়ই রাশেদ আমার বোনকে মারধর করতেন। এমনকি দুই বার কাঁথা-বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টাও করেন। যদি আমার বোন আত্মহত্যাও করে থাকে, তার জন্যও রাশেদ দায়ী।’
জেসমিনের স্বামী রাশেদ বলেন, সিরাজ নামের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে জেসমিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। দুবার তিনি সিরাজের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেছেন। তিনি আরো বলেন, সিরাজের সঙ্গে গোপনে মোবাইলে কথা বলা ও ঋণের টাকা নিয়ে জেসমিনের সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়। এ কারণে অভিমান করে জেসমিন আত্মহত্যা করতে পারেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরেফিন বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।