আতিয়া মহলের মর্জিনার বাবা এখন সিলেটে

সিলেটের শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে নিহত নারীকে শনাক্ত করতে বান্দরবান থেকে সিলেটে পৌঁছেছেন বাসা ভাড়া নেওয়া মর্জিনা আক্তারের বাবা আবদুর রহমান।
সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত ওই নারীর লাশ সোমবার উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আবদুর রহমান সিলেটে পৌঁছান।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, তিন মাস আগে বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় বাসার মালিককে যে জাতীয় পরিচয়পত্র মর্জিনা দিয়েছিলেন সেই সূত্র ধরেই তারা সিলেট এসেছেন। পরে তাদের মরদেহ দেখিয়ে পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে মর্জিনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিহত ওই নারীর দৈর্ঘ্য আনুমানিক চার ফুট। তার সম্পূর্ণ দেহ পোড়া এবং বাইরে থেকে কঙ্কাল দৃশ্যমান।
এদিকে আতিয়া মহল থেকে বাকি দুটি লাশ উদ্ধারের কাজ এখনো শুরু হয়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা জেদান আল মুসা জানান, ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসার পরই উদ্ধার কাজ শুরু হবে। ভবনের ভেতরে বিপুল বিস্ফোরক থাকায় ভবনটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া সিআইডি ও পিবিআই ক্রাইস সিন দেখবে ও আলামত সংগ্রহ করবে।
গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও শনিবার তারা ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরু করে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত রোববার ভবনে থাকা দুই জঙ্গি নিহত হন। পরের দিন সোমবার নিহত হন আরো দুজন। পরের দিন মঙ্গলবার সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান সমাপ্ত করার ঘোষণা দেয় এবং আতিয়া ভবনের দায়িত্ব পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।