অভাবে আত্মীয়ের বাড়িতে গৃহকর্মী, ‘ধর্ষণে’ মৃত্যু

ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য, গ্রাম্যচিকিৎসকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত কিশোরী কাজল আক্তারের বাবা দিনমজুর হিরণ হাওলাদার বাদী হয়ে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এ মামলাটি করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান মামলার আরজি গ্রহণ করে আগামী ৫ এপ্রিল বাদীর উপস্থিতিতে মামলার পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন দিয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী আক্কাস শিকদার জানিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবদুল মান্নান হাওলাদার, তাঁর ছোট ভাই আবদুল গাফফার, মান্নানের শ্যালক আনোয়ার হোসেন, মান্নানের স্ত্রী ফেরদৌসী ওরফে মিনু এবং গ্রাম্যচিকিৎসক সঞ্জয় কুমার।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী জানান, বরিশালের বানারীপাড়া ছলিয়াবাকপুর খাজুরবাড়ি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা দিনমজুর হিরণ হাওলাদারের মেয়ে কাজল অভাবের তাড়নায় দূর সম্পর্কের আত্মীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবদুল মান্নান হাওলাদারের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত।
গত ৮ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে আবদুল মান্নান হাওলাদার, গাফ্ফার হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন, ফেরদৌসী ওরফে মিনু কাজলকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তার বাবার কাছে রেখে যায়। তখনো কাজল কোনোমতে কথা বলতে পারত। সে তখন বাবাকে ধর্ষণের কথা জানায়।
পরিবার কাজলকে নিয়ে তাৎক্ষণিক ঝালকাঠির সীমান্ত এলাকা বানারীপাড়া থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ কাজলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কথা বন্ধ হয়ে গেলে চিকিৎসক কাজলকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, সেখানে চিকিৎসক জানান, ধর্ষণের ফলে কিশোরীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং কাজলকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ মার্চ ভোরে মারা যায় কাজল।