বন্ধুত্ব সমানে সমান না হলে তা দাসত্ব

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ও ট্রানজিটের বিষয় ইঙ্গিত করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘বন্ধুত্ব ভালো। কিন্তু নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব? এ রকম বন্ধুত্ব তো কেউ চায় না। বন্ধুত্ব হতে হবে সমানে সমান। সমানে সমান না হলে তা বন্ধুত্ব নয় দাসত্ব।’
আজ রোববার রাতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ময়মনসিংহ বার ইউনিটের সাথে মতবিনিময়ের সময় খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ওই মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। urgentPhoto
ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘অন্য অনেকেই আমাদের দেশ ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু টোল দেবে না। কোনো টাকাপয়সা দেবে না কিছু না। এই যে এত ভারী ভারী গাড়িগুলো যাবে, এই রাস্তা কি এর লোড নিতে পারবে? কয়েকদিনের মধ্যেই তো শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘টাকা দিয়ে যাবে। যাওয়াতে তো বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু টাকা দিবে না। এটা তো কখনো আমরা দেখিনি।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘গণতন্ত্রের বদলে দেশে চলছে রাজতন্ত্র, এক পরিবারের শাসন।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, ‘এ পরিবার আজীবন সুযোগ-সুবিধা পাবে। দেশের মানুষ ভাত পাক না পাক ওই পরিবারের সুবিধা থাকতে হবে এ হলো অবস্থা।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জনসমর্থন না থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায় আওয়ামী লীগ।’ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল সিটি করপোরেশন নির্বাচন এর প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের ভোট ছাড়া র্যাব-পুলিশের সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘যারা আন্দোলন সংগ্রামে এবং দলের প্রতি নিবেদিত, দলের সাথে বেঈমানি করেনি এবং করবেও না- তাদের আমরা সম্মানিত করতে চাই।’
উন্নয়নের নামে দেশে লুটপাট চলছে- এমন অভিযোগ করে পদ্মা সেতু আলোর মুখ দেখবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। সরকার জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।