আ. লীগ নেতাকে গুলি, ছেলে রিমান্ডে

ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আটক তাঁর ছেলে আমিনুল ইসলাম লিটন তালুকদারকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ তাঁকে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে।
আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা বিকেল ৪টায় শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে আটক আমিনুল ইসলাম লিটন তালুকদারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার মাতুব্বর বাদী হয়ে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের কোর্ট রোডের বাসায় ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারকে লক্ষ্য করে গুলি করে তাঁর বড় ছেলে আমিনুল ইসলাম লিটন তালুকদার। ঘটনার পরপরই পুলিশ তাঁকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১৪টি গুলি ও একটি গুলির খোসা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ঝালকাঠি পৌরসভায় লাইসেন্স বিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করে দেন মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার। নতুন করে লাইসেন্স দেওয়াও বন্ধ করেন তিনি। কিন্তু মেয়রের বড় ছেলে আমিনুল ইসলাম লিটন তালুকদার লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন করে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য তাঁর বাবাকে চাপ দেন। এ ছাড়া পৌরসভায় গিয়ে প্রতিদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বল্প মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ ও শহর পরিচ্ছন্নতার খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা নিতেন লিটন তালুকদার। এ নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মেয়রের কোর্ট রোডের বাসভবনে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ছেলে লিটন তালুকদার উত্তেজিত হয়ে বাবা পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তবে ভাগ্যক্রমে গুলি মেয়রের শরীরে লাগেনি। তাৎক্ষণিক মেয়র পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ বাসা থেকে মেয়রের বড় ছেলে লিটন তালুকদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১৪টি গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করে।