যুবদল নেতা খুনের ঘটনায় আরো দুজন আটক

সিরাজগঞ্জ শহর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা সুজনকে (৩৫) হত্যার অভিযোগে মনিরুল ইসলাম (৩০) ও রাশেদ (৩২) নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। দুজনই জেলার শাহজাদপুরের বাসিন্দা।
পুলিশের ভাষ্যমতে, আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে নিহত সুজনের স্ত্রী উম্মে সালমা তিথির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মনির ও রাশেদকে আটক করা হয়েছে। তিথির সঙ্গে মনিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং এ কারণেই খুন হয়েছেন সুজন। আর এ হত্যাকাণ্ডে তিথি আর মনিরকে সহযোগিতা করেছেন রাশেদ।
পুলিশ দাবি করেছে, আটক দুজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এঁদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিতে দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।
সেলিম রেজা সুজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সুজনের স্ত্রী উম্মে সালমা তিথি গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তাঁর (তিথি) প্রেমিক মনিরুল ইসলাম সুজনকে খুন করেছে বলে তথ্য দেন। আজ রোববার প্রেমিক মনিরুল ইসলাম ও সহযোগী রাশেদ সিরাজগঞ্জ জেলগেটে সুজনের স্ত্রী উম্মে সালমা তিথির সাথে সাক্ষাৎ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে জেলখানা এলাকা থেকে মনিরুলকে আটক করা সম্ভব হলেও রাশেদ পালিয়ে যায়।
গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এরপর মনিরুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামলীপাড়া এলাকা থেকে রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এ দুজনই খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’
আজ রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আটক মনিরুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক মামলা থাকায় ২০১৪ সালে সুজন তাঁর বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখন মনির গাজীপুরের এমা গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। ওই সময় থেকেই সুজনের স্ত্রী তিথির সঙ্গে তাঁর পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি সুজন জানার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান। একপর্যায়ে সুজনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ১ জুন সন্ধ্যায় রাশেদকে নিয়ে তিনি সুজনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ শহরের মিরপুর এলাকায় আসেন। এরপর সুজনের স্ত্রীর সহযোগিতায় ঘরের মধ্যে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুজনকে জবাই করে হত্যা করেন।
ঘটনার পরই পুলিশ সুজনের স্ত্রী তিথি ও শ্যালক পিয়াসকে আটক করে। এ ঘটনায় সুজনের মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে তিথি ও পিয়াসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।