খাগড়াছড়িতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ  শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের কদমতলী এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য মংশৈ প্রু চৌধুরী।

কংজরী চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে এ হামলার জন্য বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তাঁর ভাই পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে দায়ী করে মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তারে জেলা প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বাসা থেকে জেলা পরিষদ যাওয়ার পথে নারিকেল বাগান এলাকায় পৌঁছালে সাত-আটজন সন্ত্রাসী জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীকে বেদমভাবে মারধর করে। খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ হামলার পর বিকেলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন বাদী হয়ে বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমকে এক নম্বর ও তাঁর ভাই পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে দুই নম্বর আসামি করে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।

গত পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগে দ্বিধাবিভক্তি শুরু হয়। তখন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র  লাল ত্রিপুরা এবং বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম গ্রুপের মধ্যে আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন ও  হামলা-মামলার ঘটনা ঘটে আসছে।